প্রকাশিত: ২৭/০৮/২০১৫ ২:২০ অপরাহ্ণ
উখিয়ায় এলজিইডি অফিসের দৈন্যদর্শা :বাবলা মহাজন নামক ভুত তাড়ানো যাচ্ছে না

durnite
গফুর মিয়া চৌধুরী, উখিয়া:
কক্সবাজারের উখিয়ায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) অফিসের দৈন্যদশা বাবলা মহাজন নামক অফিস সহ-কারীকে কাম হিসাব রক্ষককে তাড়ানো যাচ্ছে না। এ যেন ভুত তাড়ানোর মতো কঠিন সাধ্য কর অবস্থায় পড়েছে কর্তৃপক্ষ। তার অনিয়ম, দূর্নীতি ও ঘুষ বানিজ্যে চরম পর্যায়ে পৌছলেও কক্সবাজার এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী রহস্য জনক ভাবে কোন বিহীত ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। অফিস সহকারী বাবলা মহাজন এসব অনিয়ম দূর্নীতিকে নিয়মে পরিণত করেছে। বর্তমানে উখিয়া এলজিইডি অফিসটি অনিয়ম দূর্নীতি আখড়াই পরিণত হলেও দেখার কেউ নেই। দূর্নীতিবাজ অফিস সহকারী বাবলা মহাজনের দৌরাত্ব ও ক্ষমতার অপব্যবহারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে ঠিকাদার, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রজেক্ট সভাপতি ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানগণ। এমনকি বাবলা মহাজনের হাতে এলজিইডি অফিস জিম্মী হয়ে পড়ার পাশাপাশি ভুতের আখড়াই পরিনত হয়েছে।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, অফিস সহকারী বাবলা মহাজন এক যুগেরও বেশী সময় ধরে অর্থ্যাৎ গত ১১/০৮/২০০২সালে হিসাব রক্ষক কাম অফিস সহকারী হিসেবে যোগদান করেন। তিনি এই অফিসে যোগদানের পূর্বেও উখিয়া এলজিইডি অফিসে বেশ কয়েক বছর একটানা চাকুরী করার পরেও একই পদে বহাল থাকার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে ২০০২ সালে এলজিইডি অফিসে ফের নতুন করে যোগদান দেখান, যা চাকুরী বিধি লংঘন হিসেবে বিবেচিত।

অভিযোগ উঠেছে, উক্ত দূর্নীতিবাজ ঘুষখোর অফিস সহকারী বাবলা মহাজন আব্বাস উদ্দিন কন্ট্রাক্টর নামের এক ঠিকাদারের সাথে কাজ পাইয়ে দিয়ে পার্টনার শীপে ঠিকাদারী ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে। ফলে এলজিইডি অফিসটি তাদের ঐতিহ্যগত ও সরকারী বিধি মোতাবেক অফিশিয়াল কার্যক্রম চালাতে হযবরল অবস্থায় পড়ে গেছে। বির্তকিত বাবলা মহাজন বছরের পর বছর ধরে এলজিইডি অফিসে হিসাবে চাকুরী করার সুবাদে ঠিকাদারের কাছ থেকে অনৈতিক উপায়ে এবং বিভিন্ন অজুহাতে মাসের পর মাস ফাইল আটকিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করে আসছে। কেউ তার কথা মতো ঘুষের পারসেন্টিস দিতে গড়িমসি করলে তাকে নানা হয়রানি ও সমস্যায় ফেলে রাখে। ইতিপূর্বে উক্ত বাবলা মহাজনকে উখিয়া থেকে অপসারণ ও বদলীর জন্য স্থানীয় ঠিকাদার ও সচেতন মহল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ করলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। দূনীতিবাজ অসৎ অফিস সহকারী বাবলা মহাজন নিজেকে একজন প্রভাবশালী ব্যাক্তি দাবী করে তার বদলীর আদেশ বন্ধ করে তিনি এক যুগেরও অধিক সময় বহাল তবিয়তে রয়েছে। কেউ তার এসব অনিয়ম দূর্নীতি ও কমিশন বানিজ্যের বিরুদ্ধে কথা বলতে চাইলে ঠিকাদারদেরকে নানা ধরণের হুমকি ধুমকি ও দূর ব্যবহার করে থাকে বলে অনেকই জানিয়েছেন। এমনকি তিনি সাংবাদিকদেরকেও কোন রকম সরকারের উন্নয়ন মূলক প্রকল্পে তথ্যে জানতে চাইলে অপারগতা জানিয়ে পাশ কাটিয়ে যায়। দূর্নীতিবাজ ঘুষখোর অফিস সহকারী বাবলা মহাজন সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কোন তথ্যে না দিয়ে তার ইচ্ছে মতো কাজ করে বিভিন্ন ভূঁয়া মাষ্টার রুল করে উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা কতিপয় ঠিকাদারদের সাথে আতাত করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তার এসব অপকর্মে সরকারের এই জনগুরত্ব পূর্ণ অধিদপ্তরের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলে সুশীল সমাজ মনে করেন। এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত অফিস সহকারী বাবলা মহাজনের বক্তব্য জানার জন্য তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, তার বিরুদ্ধে পত্রিকায় লিখলে কোন কাজ হবে না। এলজিইডির কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে তার ভাল সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবী করেন।

পাঠকের মতামত

  • সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারকালে নারী ও শিশুসহ ১৮ জন রোহিঙ্গা উদ্ধার, এক দালাল আটক
  • বৌদ্ধ তারুণ্য সংগঠন- সম্যক এর ১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
  • টেকনাফে নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
  • টেকনাফে পুলিশের অভিযানে ১৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার
  • কর্মক্ষেত্রে অনন্য কক্সবাজারের একমাত্র নারী ইউএনও নীলুফা ইয়াসমিন
  • টেকনাফে অর্ধডজন মামলার আসামি ডাকাত আবুল খায়েরসহ গ্রেপ্তার-২
  • ১৫ ঘন্টা পর ট্রলারসহ ৫৬ জেলেকে ছেড়ে দিয়েছে মিয়ানমারের নৌবাহিনী
  • চকরিয়ায় থানার সামনে সাংবাদিকের উপর হামলা
  • রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি হত্যা মামলার ৪ আসামী গ্রেফতার
  • বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ-ট্রাষ্ট পরিচালনা কমিটি গঠিত
  • সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারকালে নারী ও শিশুসহ ১৮ জন রোহিঙ্গা উদ্ধার, এক দালাল আটক

    সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারকালে নারী ও শিশুসহ ১৮ জন রোহিঙ্গা উদ্ধার, এক দালাল আটক

      আব্দুস সালাম, টেকনাফ:: সাগরপথে টেকনাফের বাহারছড়ায় মালয়েশিয়া পাচারকালে নারী ও শিশুসহ ১৮ জন রোহিঙ্গাকে ...